Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ নভেম্বর ২০২৪

পটভূমি ও ইতিহাস

পঠভুমিঃ
প্রযুক্তি বিদ্যা বা কারিগরি নামক বাংলা পরিভাষাটি এসেছে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) নামক ইংরেজী শব্দ থেকে। আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগেই ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের হাত ধরে বিশ্বময় প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানের তাৎপর্য কারিগরি বিদ্যার মাধ্যমে সাধারণের কল্যাণে ব্যবহারের সুযোগ পায় ।
 
বাংলাদেশে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের দশকে প্রথম কারিগরি শিক্ষার প্রচলন ঘটে। সে সময় সারা দেশের মধ্যে একমাত্র রাজধানী ঢাকায় মধ্যম শ্রেণীর প্রকৌশলী তৈরীর জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়। তৎকালীন ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমানে বুয়েট) প্রতিষ্ঠিত হয়। আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ৪ বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের প্রচলন ছিল। ১৯৫৫ সালে ঢাকাস্থ তেজগাঁও-এ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের সূচনা ঘটে। গত অর্ধশতকে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশাসনের বহু শাখা-প্রশাখার বিস্তার ঘটেছে।
 
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বাঙালি জাতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ মানব সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। অধিদপ্তরাধীন মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৯০টি। বেসরকারী পলিটেকনিকের সংখ্যা প্রায় ৪৮৫টি।
 
*একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে কারিগরি শিক্ষা। বর্তমানে দেশে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ০৩টি। ২০০৪ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে পর্যায়ক্রমে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
 
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমে নারী শিক্ষা প্রসারে (প্রথমে ঢাকা ও পরে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী) ৪টি মহিলা পলিটেকনিক এবং বর্তমানে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে চলমান রয়েছে। সারাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় মোট ৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার ৮৭০। সরকারের জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ লক্ষ্যকে আরও বেগবান করতে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দেশে-বিদেশে।
 
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মূলকাজ ৪টি ঃ- মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা, একাডেমিক কার্যক্রমের তদারকীকরণ এবং কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সংযোগ সৃষ্টি করা। অধিদপ্তরাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩টি স্তরে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যথা- সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ও ডিগ্রী স্তর, সার্টিফিকেট পর্যায়ে রয়েছে ১৩৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, ১টি ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরটি এফ-৪/বি শেরে-ই-বাংলানগর, প্রশাসনিক এলাকা, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ এ অবস্থিত।
 
ইতিহাস :
গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বৃহত্তর ময়মনসিংহের কারিগরি শিক্ষার (ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়রিং) অন্যতম প্রতিষ্ঠান হল শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি শেরপুর জেলা সদর থেকে ৫ কি,মি পূর্বে ভাতশালায় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত। ২০০৪ সালে শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বর্ষে মাত্র ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং ৪টি টেকনোলজি (সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি) নিয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়।  বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ৪ বছর মেয়াদী ২টি শিফটে ৪টি টেকনোলজি ও ১টি নন-টেক বিভাগ চালু রয়েছে।